আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং ভালো ও খারাপ দিকগুলো কি কি?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী?
চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত। কিন্তু একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়।
কিছুদিন
আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
ছিল দূর ভবিষ্যতের একটি
কাল্পনিক বিষয়। কিন্তু
অতি সম্প্রতি এই দূরবর্তী ভবিষ্যতের
বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের
অংশ হতে শুরু করেছে। তার
প্রধান কারণ, পৃথিবীর মানুষ
ডিজিটাল বিশ্বে এমনভাবে সম্পৃক্ত
হয়েছে যে, হঠাৎ করে
অচিন্তনীয় পরিমাণ ডেটা সৃষ্টি
হয়েছে এবং সেই ডেটাকে
প্রক্রিয়া করার মত ক্ষমতাশালী
কম্পিউটার আমাদের হাতে চলে
এসেছে। এই
ডেটা বা তথ্যকে প্রক্রিয়া
করার জন্য বিজ্ঞানী এবং
প্রযুক্তিবিদরা এমন একটি পদ্ধতি
বেছে নিয়েছে যেটি মানুষের
মস্তিষ্কের মতো করে কাজ
করে। সাধারণভাবে
এটা নিউরাল নেট নামে
পরিচিত। সহজভাবে
বলা যায় এর একটি
ইনপুট লেয়ার এবং আউটপুট লেয়ার রয়েছে যার মাঝখানের লেয়ারটি হচ্ছে ‘লুক্কায়িত’ লেয়ার।
প্রথমে
এই নিউরাল নেটকে ইনপুট
এবং তার সাথে যুক্ত থাকা আউটপুট ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ
দেওয়া হয়। তখন
‘লুক্কায়িত’ লেয়ারটি এমনভাবে পরিবর্তিত
হতে থাকে যেন প্রশিক্ষণের
জন্য দেওয়া ইনপুটের জন্য
সত্যি আউটপুটটি পাওয়া যায়।
একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গেলে এই
নিউরাল নেটকে সম্পূর্ণ নতুন
ইনপুট দিলেও সেটি সম্ভাব্য
সঠিক আউটপুটটি দিতে পারবে।
যত বেশি ডেটা দিয়ে
প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, নিউরাল
নেটটি তত ভালো কাজ
করবে। একটি লুক্কায়িত লেয়ার না রেখে
একাধিক স্তর দিয়ে এই
নেটকে আরো অনেক বুদ্ধিমান
করা সম্ভব। তখন
নেটটি নিজেই ডেটা ব্যবহার
করে শিখে নিতে পারবে। এই ‘ডিপ লার্নিং’ প্রক্রিয়াকে বলা যেতে পারে
একটি সত্যিকারের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে কাছাকাছি একটি
প্রক্রিয়া।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানত C/C+, Java, MATLAB, Pzthon, SHRDLU, PROLOG, LISP, CLISP, R ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়। কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীতার ভিত্তিতে ডেভেলপারগণ তাদের পছন্দসই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে?
জন ম্যাকার্থি (ইংরেজি: John McCarthy) (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৭ - ২৪ অক্টোবর, ২০১১) একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" ও প্রোগ্রামিং ভাষা লিস্পের জনক। তিনি "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" নামক পরিভাষার প্রচলন করেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখন বর্তমানে আমাদের চারপাশে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং এই ব্যবহার আমাদের সমাজ বা পরিবেশকে আরো আধুনিক হতে সাহায্য করেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে নানান ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবহার আলোচনা করা হলোঃ
স্বচালিত গাড়ি
একটি গাড়ি যাতে নিজে
থেকে তার চারপাশের অবস্থা
বুঝে চলাফেরা করতে পারে তার
জন্য মেশিন লার্নিং এবং ভিজুয়াল রিকগনিশন পদ্ধতি টি যানবাহনের
উপর প্রয়োগ করা হয়।
বর্তমানে যে যে স্বচালিত
গাড়ি গুলো সহজলভ্য সেগুলো যাতে
মানুষদের নিজে থেকে চিনতে
পারে এবং তাদের সুরক্ষিত
রাখতে পারে তার জন্য
বায়োমেট্রিক সিস্টেম এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন
পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে এই গাড়ি গুলো
ট্রাফিক লাইন এর যেসব ধরন গুলো আছে
এবং আরো অন্যান্য যে সাইন গুলো আছে সেগুলো
বুঝতে পারে।
অনলাইন শপিং
অনলাইন
শপিং সিস্টেম আপনার পছন্দ অপছন্দ
ভিত্তিতে একটি অ্যালগরিদম সৃষ্টি
করে এবং পরবর্তীকালে সেই
অ্যালগরিদম এর ভিত্তিতে আপনার
পছন্দের বস্তুগুলোকে আপনাদের সামনে তুলে ধরে। যে
যে অনলাইন শপিং অ্যাপ
গুলো বর্তমানে বিদ্যমান আছে সেগুলো আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে তাদের অ্যালগোরিদম এর দ্বারা আপনাদের
পছন্দ সম্পর্কে যেন আরো ভালো
ভাবে জানতে পারে তার
উপর কাজ করছে।
স্বাস্থ্যসেবা
বর্তমানে কারো
জটিল রোগ হলে সেটা
ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য, তার
জন্য কি ওষুধ প্রয়োজন,
কিভাবে তার চিকিৎসা করা
উচিত সেই বিষয়
গুলোর পিছনেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
এর অনেক বড় ভূমিকা আছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো
এমন একটা জিনিস যেটাকে
যেমন ভাবে ব্যবহার করা
হবে ভবিষ্যতে সেটা আপনাকে সেরকম
ফলাফল দেবে। এছাড়াও
এই প্রযুক্তির উপর এখন যাতে
কোনো ব্যক্তির কি অসুখ করেছে
সেটা আরো ভালো ভাবে
বোঝা যায় এবং তার
জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার
উপর কাজ করছে।
ব্ল্যাক বক্স সমস্যা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের
বুদ্ধি অনুসরণ করার জন্য
মেশিন লার্নিং অ্যালগোরিদম বা নিউরাল নেটওয়ার্ক
এর উপর পুরোপুরি নির্ভর
হয়ে থাকে। কিন্তু
প্রধান সমস্যা হলো এখানে
যে যে অ্যালগোরিদম গুলো
ব্যবহার করা হয় সেগুলো
আপনাকে যে বিচার টি
দেবে সেটা তারা কিভাবে
জানতে পারছে সেটা জানা
অসম্ভব। তাহলে
বলা যেতে পারে ব্ল্যাক বক্স আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যে
যে ঝুঁকি গুলো আছে
তাদের মধ্যে একটি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত ১০টি সুবিধা নিম্নে দেয়া হলঃ
দ্রুত গণনা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি দ্রুত গণনা করতে সাহায্য করে, যা ব্যবসায়ে এবং গণনা কর্মক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের দক্ষতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি মানুষকে নতুন কৌশল শেখাতে সাহায্য করে, এবং নিজের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
টেকসই নিরাপত্তা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেবা নিয়ে নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করে, স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্হায় সহায়ক হতে পারে।
দক্ষতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উপকরণ সাথে সক্ষম হওয়া, দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে, যেহেতু এগুলি নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়।
শিক্ষা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার প্রক্রিয়া মজাদার করতে সাহায্য করে।
যোগাযোগ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সাথে যোগাযোগ সহজ করে এবং দূরবর্তী সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করে।
তথ্য অ্যাক্সেস
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি মানুষের জন্য বিশেষ তথ্যের অ্যাক্সেস উন্নত করতে সাহায্য করে, যা শিক্ষা, সংবাদ, এবং অন্যান্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ।
বিনোদন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা করতে সাহায্য করে, যেমন সেলফি ফিল্টার এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
স্বাস্থ্য
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মনিটরিং এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সাহায্য করতে পারে, যা রোগের চিকিৎসা এবং লক্ষণের নির্ধারনে সাহায্য করে।
ব্যবসায় সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবসায়ে এবং কাজে সাহায্য করে, যা সময় এবং সাধারণ কাজের সুবিধা প্রদান করে।
এই সুবিধাগুলি মানুষের জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সহায়ক এবং সুবিধাজনক করতে সাহায্য করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অসুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত ১০টি অসুবিধা নিম্নে দেয়া হলঃ
তথ্য নির্ভরশীলতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি তথ্যের উপর নির্ভর করে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্যের অভাব সাধারণ কাজে সাময়িক দুর্বলতা তৈরী করতে পারে।
প্রাইভেসি সমস্যা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সমাজের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রাইভেসি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেটি জটিল সংকটের হতে পারে।
সুরক্ষা সমস্যা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সুরক্ষা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং হ্যাকারদের সাময়িক প্রবেশে সহায়ক হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তাহীনতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সাইবার নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যা নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে দুর্বল করে।
প্রোগ্রামিং ত্রুটি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি মেশিন লার্নিং এবং প্রোগ্রামিং ত্রুটি তৈরি করতে পারে, যা অনিয়ন্ত্রিত ফলাফলের সৃষ্টি করতে পারে।
অসুস্থ্যতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন নেটওয়ার্ক অসুস্থ্যতা বা চোখের সমস্যা।
নৈতিক সমস্যা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি যে কোনও সময় নৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
যোগাযোগের দুর্বলতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি মানুষের যোগাযোগে দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের প্রতি বাধা তৈরী করতে পারে।
আইনী জটিলতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সংকটে নানা আইনী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেগুলি সাইবার বা তথ্য নির্ভর সমস্যা হতে পারে।
সামাজিক সমস্যা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা তথ্য নির্ভর বিষয়গুলোর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এই অসুবিধা সমূহের সম্মুখিন হওয়া এবং উপায় বের করা সামগ্রিকভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির ব্যবহার ও নৈতিকতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ
ব্যবসায়
ব্যবসায়ের
ক্ষেত্রে এআই এর ব্যবহার
ক্রমাগত বাড়ছে। রোবোটিক
প্রক্রিয়া অটোমেশনের সাহায্যে, বারবার করা কাজ
এখন মেশিনের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা
এখন স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে এআই সবচেয়ে
বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। আইবিএম
ওয়াটসন এটির জন্য একটি
খুব বিখ্যাত প্রযুক্তি।
আইন
এই সেক্টরে, এআইয়ের মাধ্যমে ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া খুব সহজেই করা
হচ্ছে।
উৎপাদন
এই খাতটি সম্পন্ন করতে
শত শত লোককে যে
কাজ করা হত এখন
কেবল কয়েকটি মেশিনের মাধ্যমেই করা হচ্ছে।
মূলধন যোগান
আগে সংস্থাগুলি ডেটা বিশ্লেষণে প্রচুর
অর্থ দিতে হত, তবে
এখন এই কাজটি মেশিনের
মাধ্যমে খুব সহজেই করা
হচ্ছে।
শিক্ষা
আজকাল এআই-এর সহায়তায় শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই বাড়ি থেকে অনেক কিছুর সমাধান পেতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিকগুলো কি কি
ত্রুটিপূর্ণ কাজ সহজে সমাধান
আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স-এআই ব্যবহার করে
ত্রুটিপূর্ণ কাজগুলো সহজেই করা যেতে
পারে। কারণ
এআই টেকনিকগুলোতে কেবল একবার মেশিনে
তথ্য প্রবেশ করতে হবে। তার
পরে মেশিন নিজে প্রক্রিয়া
করে এবং একটি অনুকূল
ফলাফল দেয়।
দ্রুত সিদ্ধান্ত
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই ব্যবহার করে
মেশিনটি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত
হবে। যেমন:
আমরা যদি উইন্ডোজটিতে একটি
দাবা খেলা খেলি তবে
কম্পিউটারকে পরাস্ত করা কঠিন
হবে কারণ অ্যালগরিদম কারণে
কম্পিউটারটি দ্রুত হারান কঠিন।
দৈনিক আবেদন
আজকাল অ্যাপলের সিরির
এআই, উইন্ডোজের কর্টোনা এবং গুগলের ভয়েস
উপায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই
ভয়েস টেকনোলজির সাহায্যে আমরা মেশিনগুলির সাথে
কথা বলতে পারি।
গুগল এই বৈশিষ্ট্যটি অনুসন্ধানে
নিয়ে এসেছে। ।
ডিজিটাল সহকারি
আমাজন অ্যাসিস্ট্যান্ট, গুগল
মাই অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো অনেক সফ্টওয়্যারের
মাধ্যমে আমরা সহজেই আমাদের
জীবন উপভোগ করতে পারি। এই
সফ্টওয়্যারগুলো আপনাকে সময়মতো কাজের
কথা মনে করিয়ে দেয়। এগুলো
ছাড়াও আরও অনেক কিছুই
মানব সহকারির মতো করা যেতে
পারে।
ওষুধ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি
স্বল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসকদের
যে কোনও ধরণের তথ্য
দিতে পারে এবং তাদের
দ্বারা হাসপাতালের অনেকগুলো কাজ করা যেতে
পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিকগুলো কি কি
পক্ষপাত
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেমগুলো মানুষের
পক্ষপাতের উত্তরাধিকারী হতে পারে বা
স্থায়ী করতে পারে।
এরফলে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর
বিরুদ্ধে অন্যায্য ফলাফল এবং বৈষম্য
দেখা দেয়।
চাকরির স্থানচ্যুতি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই এর অনেক
কাজ স্বয়ংক্রিয় করার সম্ভাবনা রয়েছে,
যার ফলে বেকারত্ব এবং
অর্থনৈতিক বৈষম্য হতে পারে।
গোপনীয়তার উদ্বেগ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই সিস্টেমগুলি বিপুল
পরিমাণে ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ এবং
সংরক্ষণ করতে পারে, যা
শোষণ বা অপব্যবহার করা
যেতে পারে।
স্বচ্ছতার অভাব
কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এ স্বচ্ছতার অভাব হতে পারে, তারা কীভাবে
সিদ্ধান্ত নেয় বা সিদ্ধান্তে
পৌঁছায় তা বোঝা কঠিন হয়।
নির্ভরতা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর
অত্যধিক নির্ভরতা মানুষের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বাড়াতে
এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা কমাতে
পারে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম হ্যাকিংয়ের
জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, যা
সাইবার আক্রমণ এবং ডেটা
লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে।
নৈতিক দ্বিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নৈতিকতা নিয়ে
প্রশ্ন তুলতে পারে, যেমন
মানুষের ভালোর চেয়ে দক্ষতা বা
লাভকে অগ্রাধিকার দেয়া কখনও নৈতিক
কিনা।
জবাবদিহিতার অভাব
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমগুলি মানুষের সক্রিয় তত্ত্বাবধান ছাড়াই কাজ করতে
পারে, তাই তাদের কাজ বা
ত্রুটির জন্য তাদের জবাবদিহি
করা কঠিন হবে।
আশা করি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? এর সুবিধা, অসুবিধা, ভালো ও খারাপ দিকগুলো কি কি? এই বিষয়গুলো আমরা জানতে পেরেছি।
0 Comments