জরুরি মুহূর্তে ফোনের ব্যাটারি বাঁচানোর সহজ উপায়।

যে কোন ফোনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল চার্জ। মোবাইল যত পুরনো হয় ব্যাটারি ব্যাকআপ ফিচারও তত ক্ষয় হতে শুরু করে। পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা চার্জার হাতের কাছে থাকলে কোনো সমস্যা নেই চার্জ কমে গেলে। যে কোনো মুহূর্তে চার্জ দেওয়া যায়। তবে বাড়িতে পাওয়ার কাট হলে তো চার্জ দেবার কোনো উপায় থাকে না। তখন মোবাইলের ব্যাটারি বাঁচাবেন কি করে? 

"how to reduce mobile battery consumption?"


হাতের কাছে চার্জার বা পাওয়ার ব্যাঙ্ক না থাকলে কিভাবে মোবাইলের ব্যাটারি সেভ করা যাবে সেই টেকনিক এখনো যদি না জেনে থাকেন, তবে এক্ষুনি জেনে নিন-

লোকেশন অ্যাক্সেস ডিজেবেল করতে হবে-

অনেকসময়েই দেখা যায় কোনো অ্যাপ ব্যবহারের ফলে লোকেশন অ্যাক্সেস অটোমেটিক চালু হয়ে যায়। বা আমরা অনেকসময়ে নিজেরাই লোকেশন ফিচার চালু করে রাখি। মোবাইলের ব্যাটারি বাঁচাতে হলে লোকেশন অ্যাক্সেস ডিজেবেল করে রাখতে হবে। খুব দরকার পড়লেই লোকেশন ওপেন করা উচিত।

  • আইফোনে সেটিংস আইকন থেকে প্রাইভেসি অপশনে ক্লিক করে সেখান থেকে লোকেশন ডিজেবেল করতে পারেন।
  • Android ফোনে “Settings” অপশন থেকে “Location” অপশনে গিয়ে লোকেশন অ্যাক্সেস ডিজেবেল করতে পারেন।
  • এছাড়াও আরও কিছু শর্টকার্ট ফিচারের মাধ্যমে লোকেশন অ্যাক্সেস ফোনে বন্ধ করা যেতে পারে।

ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট অফ করতে হবে -

Android ফোনে রয়েছে গুগল অ্যাসিস্টেন্ট এবং আইফোনে রয়েছে “Hey Siri” ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট ফিচার। মোবাইলের ব্যাটারি যাতে কম নষ্ট হয় সেইজন্য এই ফিচার দুটিকে বন্ধ করে রাখতে হবে।

  • আইফোনে “Settings” আইকনে ক্লিক করে “Siri & Search” থেকে এই ফিচার বন্ধ করতে পারবেন ইউজারেরা।
  • Android ফোনের ক্ষেত্রে Google Assistant অ্যাপের সেটিংস থেকে এই ভয়েস রিকগনিশান ফিচারকে বন্ধ করা যাবে।

ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমাতে হবে-

ফোনের ব্রাইটনেস যত বেশি হবে, ব্যাটারিও তত খাবে। তাই মোবাইলের ব্যাটারি বাঁচাতে ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো উচিত।

  • আইফোন ইউজার হলে ব্রাইটনেস বার থেকেই মোবাইলে ব্রাইটনেস কমানো যাবে।
  • অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও এই সিস্টেম আছে। এছাড়া অটো ব্রাইটনেস ফিচার কে অ্যাক্টিভ করে আশেপাশের পরিবেশের আলোর সাথে মোবাইলে ব্রাইটনেস ফিচারকেও সমান রাখা যায়। এমন করলে ব্যাটারি কম খায়।
  • যেসমস্ত ইউজারেরা পিক্সেল বা গ্যালাক্সি সিরিজের ফোন ব্যবহার করেন তারা অ্যাডাপ্টিভ ব্রাইটনেস ফিচার চালু করতে পারেন। এই ফিচারকে অ্যাক্টিভ করতে হলে সেটিংস থেকে ডিসপ্লেতে যেতে হবে।
  • এছাড়াও মোবাইলের ডিসপ্লে অপশনে গিয়ে ডার্ক মোড অন করলেও মোবাইলে ব্যাটারির ক্ষয় কম হয়।

ব্যাটারি সেভার চালু করতে হবে-

মোবাইলে ব্যাটারি সেভার চালু করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অন্যান্য অ্যাপের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কোনো কিছু অটোমেটিকভাবে ডাউনলোড হতে থাকলে ব্যাটারি সেভার অন করলে তা নিজে থেকেই থেমে যায়। যার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি অনেকটা বেঁচে যায়। প্রতিটি মোবাইলের সেটিংসে ব্যাটারি সেভিং মোড থাকে। তবে আজকাল কিছু কিছু ফোন আসছে এক্সট্রিম ব্যাটারি সেভিং মোডের সাথে। যার ফলে ব্যাটারি সেভিং মোড চালু করলে বেশিরভাগ অ্যাপের কাজ বন্ধ হয়ে যায় ব্যাকগ্রাউন্ডে। যার ফলে মোবাইলে ব্যাটারি অনেকটাই বেঁচে যায়।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ করতে হবে-

মোবাইলের ব্যাটারি বাঁচাতে হলে রিফ্রেশ করতে হবে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ। মোবাইলে না ইউজ করা অবস্থাতেও যদি কোনো অ্যাপ মোবাইলের ডেটা ইউজ করে তবে ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের কাজ বন্ধ করতে হলে-

  • আইফোনে সেটিংস আইকন থেকে জেনারেল অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ অপশনকে এনাবেল করতে হবে।
  • Android ফোনে সেটিংস থেকে ব্যাটারি এরপর ‘More Battery Settings’ অপশনে ক্লিক করে ‘Optimise battery use’ অপশন থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের অ্যাক্সেস বন্ধ করা যেতে পারে।

নোটিফিকেশন পুশ করতে হবে-

মোবাইলে ব্যাটারি বাঁচাতে করা যেতে পারে নোটিফিকেশন পুশ।

  • Android ফোনে সেটিংস থেকে “Apps and Notifications” অপশনে গিয়ে নোটিফিকেশন থেকে পুশ নোটিফিকেশন ফিচার চালু করা যায়।
  • আইফোনে সেটিংস আইকন থেকে নোটিফিকেশনে গিয়ে নোটিফিকেশন পুশ করা যাবে।

মোবাইলে কম ব্যাবহার করতে হবে-

অনেকক্ষণ মোবাইলে ব্যাটারি বাঁচাতে গেলে মোবাইলে কম ইউজ করতে হবে।

  • ভিডিও বা গ্রেম স্ট্রিমিং করলে বা ইন্টারনেট চালু রাখলে কিন্তু ব্যাটারি বেশি তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়।
  • মোবাইলে কোনো কাজ না থাকলে এয়ারপ্লেন মোড অন রাখা যেতে পারে, যার ফলে ব্যাটারি কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে

আমাদের আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।

ধন্যবাদ,


 

Post a Comment

0 Comments